Krishi Bank - Officer (Cash) - 04.09.2015

বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো শব্দ আছে যাদের লিঙ্গান্তর হয় না।অর্থাৎ কতগুলো শব্দ কেবল পুরুষবাচক হয় আবার শব্দ কেবল স্ত্রীবাচক হয়।এদেরকে নিত্য পুরুষ বাচক এবং নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ বলে।যেমন:

বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ( যেমন: কোল,মুণ্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত হয়েছে।এগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দ বলে।এগুলোর বিকৃত উচ্চারণ রয়েছে।যেমন:

ং, ঃ,ঁ - এই তিনটি বর্ণ স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না।এ বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয়।তাই এ বর্ণগুলোকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ।

দ্বিরুক্ত শব্দের অর্থ - দুইবার উক্ত হয়েছে এমন।বাংলা ভাষায় কোন কোন শব্দ,পদ বা অনুকার শব্দ,একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে,সেগুলো দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোন সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে।যেমন:

ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যোগ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন শব্দ গঠন।শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে।যেমন:

বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়, এগুলোকে অর্ধ - তৎসম শব্দ বলে।তৎসম মানে সংস্কৃত আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। যেমন: কৃষ্ণ (তৎসম) > কেষ্ট।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম উপসর্গ এর সংখ্যা ২০ টি।তন্মধ্যে "অপ" উপসর্গ একটি।"অপ" উপসর্গটি বিপরীত,নিকৃষ্ট, স্থানান্তর,বিকৃত অর্থে ব্যবহৃত হয়।যেমন:

পাল শাসনামলে চর্যাপদ রচিত হয়।পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল।ধর্মপাল এবং দেবপালের শাসনকাল ছিল এ বংশের উদীয়মান প্রতিপত্তির যুগ।বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ পাল শাসনামলে রচিত হয়।পাল শাসনামলে সবার নামের শেষে পাল কথাটি ছিল,আর পাল শব্দের অর্থ - রক্ষাকর্তা।

'চাঁদ সওদাগর' বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যধারার চরিত্র।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কবি আলাওল।

বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক পত্রিকা সংবাদ প্রভাকর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ নয় - শেষের কবিতা।

দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবারে ল্যাকটোজ নামক একটি উপাদান থাকে যা মূলত একটি শর্করা।

এক্সেলের কলাম ও সারির প্রত্যেকটি উপাদান কে বলে - সেল।