প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-2010-(সুরমা-04) (10-01-2010)

উল্লেখিত অপশন গুলোর মধ্যে 'সূদন' বানানটি শুদ্ধ।

কবিতাংশটির কবি নজরুল ইসলাম রচিত খেয়া পারের তরণী কবিতা অন্তর্ভুক্ত। এ কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবিতাটিতে ধর্মবিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক অনুভূতিকে প্রকাশ করা হয়েছে ব্যঞ্জনাময় রূপ ধর্মী চিত্র এঁকে।

লালমনিরহাট জেলার কাকিনা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী শেখ ফজলুল করিম রচিত কবিতার অংশবিশেষ। তার ওপর একটি আলোচিত উদ্ধৃতি হল "কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলেছে তা বহুদূর?" মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ১৯২৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস শেষের কবিতা। উপন্যাসটি রোমান্টিক এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। উপন্যাসটি প্রধান চরিত্র অমিত রায়, লাবণ্য, শোভনলাল ও কেতকী। উপন্যাসটির শেষ হয়েছে 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও' কবিতা দিয়ে।

বাংলা সাহিত্যে পল্লীর প্রতিনিধিত্বকারী কবি জসীম উদ্দীন রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ রাখালী। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়। এ কাব্যগ্রন্থটি কবি কে ভূয়সী প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা দান করে। কাব্য গ্রন্থটি তে পল্লী প্রকৃতির রূপ রস এবং পল্লীর সহজ সরল মানুষের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।

নাটকটি রংপুর অঞ্চলের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নুরুলদীন কে নিয়ে রচিত। সৈয়দ শামসুল হক রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক হলো - পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, ঈর্ষা, গণনায়ক, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ প্রভৃতি।

১৯৩০ সালে প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম রচিত নাটক। নজরুলের নাটক লেখার উৎসাহ ও প্রেরণা যাত্রা থেকে। এছাড়া তার আরো দুটি বিখ্যাত নাটক হলো আলেয়া ও পুতুলের বিয়ে।

ক্রিয়া সম্পাদনের কাল বা সময় এবং আঁধারকে অধিকরণ কারক বলে। বাক্যে 'আষাঢ়' বলতে একটি নির্দিষ্ট কাল বা সময়কে বোঝানো হয়েছে। মূলশব্দ আষাঢ় এর সাথে বিভক্তি যুক্ত হওয়ায় সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে। সুতরাং সঠিক উত্তর অধিকরণে সপ্তমী।

তৎসম শব্দে কোথাও মূর্ধন্য - ষ থাকলে তার পরের ন ধ্বনি মূর্ধন্য হয়। কাজেই দূষণ সঠিক বা শুদ্ধ বানান। এ জাতীয় আরো কতিপয় শব্দ আকর্ষণ, ভাষণ, পাষাণ, ঘোষণা, শোষণ ইত্যাদি।

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্মকারক বলে। বাক্যে শুক্রবার কে কেন্দ্র করে স্কুল বন্ধ থাকছে। কাজেই স্কুল কর্মকারক এবং মূল শব্দ স্কুলের সাথে কোন বিভক্তি যোগ না হওয়ায় শূন্য বিভক্তি। সুতরাং সঠিক উত্তর কর্মে শূন্য।

'পাথর' শব্দের প্রতিশব্দ গুলি হল - পাষান, মনি, শিলা, রত্ন, বাটখারা, প্রস্তর প্রভৃতি। কাজেই নংষগ পাথর এর প্রতিশব্দ নয়। নগ এর প্রতিশব্দ পাহাড়, পর্বত, গাছ প্রভৃতি।

'ঢেউ' শব্দের প্রতিশব্দ - তরঙ্গ, ঊর্মি, বীচি। 'বারিধি' শব্দের প্রতিশব্দ সমুদ্র, সাগর, সিন্ধু, জলদি, রত্নাকর প্রভৃতি। 'বারি' শব্দের প্রতিশব্দ হলো পালি, সলিল, বৃষ্টি, জলপাত্র, কলসি ইত্যাদি।

'অলীক' শব্দটির বিশেষ্য অর্থ অসত্য, মিথ্যা। এটি বিশেষণ হলে এর অর্থ অমূলক, অসার, বৃথা প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ করে। কাজেই এর বিপরীতার্থক শব্দ 'সত্য'।

'বিশ্রী' শব্দের অর্থ কদাকার, কুৎসিত, শ্রীহীন। এটি বিশেষণ হলে এর অর্থ প্রকাশ করে। আর যদি বিশ্বাস না হয় তবে এর অর্থ লজ্জাকর, জঘন্য, অশ্লীল। কাজেই বিশ্রী শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো সুন্দর।

'চিরুনি' শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ হচ্ছে - - - চির + উনি।

'জমানো' শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ হচ্ছে - জমা + আনো।

বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। এ সমাসে যে, সে, যেই, সেই, যিনি, তিনি, যা, তা ইত্যাদি ব্যাসবাক্য ব্যবহৃত হয়। 'ইহকাল' এর ব্যাসবাক্য হলো ইহ যে কাল।

ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে কর্মধারয় সমাস হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। চালে আশ্রিত কুমড়া = চাল কুমড়া।

সংস্কৃত প্রত্যন্ত শব্দ থেকে বাংলায় ঈ - কারান্ত শব্দ এসেছে। সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম এর প্রভাবে বাংলায় এসব মূল শব্দের সঙ্গে তৎসম প্রত্যয় বিভক্তি বা শব্দযক্ত হলে ঈ - কার না হয়ে মূলের ই - কার বজায় থাকে। যেমন শশী কিন্তু শশিকর, শশী কলা, শশীভূষণ প্রভৃতি।

যে সমাসের সমাসবদ্ধ পদটির যে রূপ তাতে ব্যাসবাক্যের মধ্যে ব্যাখ্যামূলক পদগুলো থাকে না তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। এরূপ কতিপয় সমাস হল সিংহাসন, মৌমাছি, জ্যোৎস্নারাত, বৌভাত, হাসিমুখ প্রভৃতি।