প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-2010-(কপোতাক্ষ-01) (13-01-2010)

ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্তৃকারক। বাক্যটিতে 'বুলবুলি' কর্তা হিসেবে খাওয়া কাজটি সম্পাদন করা তা কর্তৃকারক এবং শব্দের শেষে 'তে' থাকায় তা সপ্তমী বিভক্তি।

বাক্যের ক্রিয়াকে কি উপায় বা কিসের দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর যা পাওয়া যায় তাকে করণ কারক বলে। এখানে প্রশ্নটিই হচ্ছে - কি দ্বারা কাজ? উত্তরে হাতের দ্বারা কাজ। তাই 'হাতের' করণ কারক এবং শব্দের শেষে 'র' থাকায় তা ষষ্ঠী বিভক্তি।

বাংলা শব্দের শুরুতে ঊ - কারের ব্যবহার অনেক কম। তাই বানান মনে রাখার ক্ষেত্রে ঊ - কার যুক্ত শব্দ মনে রাখাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে দু - একটি সূত্র: ১. বাংলা শব্দের প্রথম বর্ণে, খ ঙ ছ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ থ ফ ষ এই ব্যঞ্জন গুলোর ওকার যুক্ত ব্যবহার দেখা যায় না। ২. শব্দের শেষে থাকলে তার অব্যবহৃত পূর্ববর্তী বর্ণের ঊ হয়। যেমন: রূঢ় গূঢ়।

ঋ, র, ষ - এর পরে স্বরধ্বনি, ষ, য়, ব, হ এবং ক বর্গীয় ও প বর্গীয় থাকলে পরবর্তী ন মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমন: গৃহিণী।

অ, আ ছাড়া অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র এর পরের ষ প্রত্যয়ের 'স' থাকলে তা 'ষ' হয়। যেমন - ভবিষ্যৎ। আর এটি তৎসম শব্দ হওয়ায় এর সাথে ৎ ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যদিকে ভবিষ্যৎবাণী শব্দটিতে 'ষ' এরপরে স্বরধ্বনি এবং প বর্গীয় ধ্বনি থাকায় 'ন' না হয়ে 'ণ' হয়েছে।

'যামিনী' এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে - রাত্রি, রজনী। অন্যদিকে পৃথিবী এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে - বসুন্ধরা, ধরণী, অবনী, ধরা, ধরিত্রী, মেদিনী।

'কাজল' এর সমার্থক শব্দ: অঞ্জন, সুরমা, মসি। আর 'অন্ধকার' এর সমার্থক শব্দ: আঁধার, তিমির, অমানিশা, তমসা, তম, তমিস্র।

'পর্বত' এর সমার্থক শব্দ: পাহাড়, গিরি, ভূধর, অচল, অদ্রি। আর শিলা এর সমার্থক শব্দ: পাথর, কাঁকর, শিলাবৃষ্টি।

'তিমির' শব্দের সমার্থক শব্দ: অন্ধকার, আঁধার, অমানিশা, তমসা, তম, তমিস্র। এর বিপরীত শব্দ আলো।

'মুক্ত' এর সমার্থক শব্দ: খোলা, অবারিত, অবাধ, উন্মুক্ত, স্বাধীন, মুক্তি, বাহির। এর বিপরীত শব্দ: বন্দী, বদ্ধ।

মীর মশাররফ হোসেন এর উল্লেখযোগ্য রচনাবলীঃ বসন্তকুমারী নাটক (১৮৭৩), জমিদার দর্পণ (১৮৭৩), এর উপায় কি (১৮৭৫), বিষাদ - সিন্ধু (১৮৮৫ - ১৮৯১)। জমিদার দর্পণ নাটকটিতে অত্যাচারী ও চরিত্রহীন জমিদার হাইওয়ান আলীর অত্যাচার এবং অধীনস্থ প্রজা আবু মোল্লার গর্ভবতী স্ত্রী নুরনেহার কে ধর্ষণ ও হত্যার কাহিনী ফুটে উঠেছে।

বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬ - ১৯৩৮)। তার সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে তাকে সম্মানসূচক ডি - লিট ডিগ্রি প্রদান করে। বাঙ্গালী নারীর প্রকৃতি অঙ্কনে তিনি যে দক্ষতা দেখিয়েছেন 'দেনাপাওনা' তার একটি।

বাংলা সাহিত্যে অতুলনীয় ও সর্বতোমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । এশীয়দের মধ্যে প্রথম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোভিদ মর্যাদা নিয়ে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ছোটগল্পের পথিকৃৎ তিনি। এছাড়াও সাংকেতিক নাটক অভিনবত্ব দেখিয়েছেন। তিনি 'কালের যাত্রা' তার একটি সাংকেতিক নাটক।

'শেষের কবিতা' (১৯২৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস। অমিত, লাবণ্য, কেতকী, শোভনলাল প্রমুখ এই উপন্যাসের চরিত্র। 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও' - এই কবিতা দিয়ে উপন্যাসটির শেষ হয়েছে।

'শিব মন্দির' কায়কোবাদ রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। উনিশ শতকের এ কবির আসল নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কুরাইশী। তিনি একই সঙ্গে মহাকবি ও গীতিকবি। কুসুমকানন, অশ্রুমালা, অমিয়ধারা, মহরম শরীফ ইত্যাদি তাঁর কাব্যগ্রন্থ আর 'মহাশ্মশান' হচ্ছে মহাকাব্য।

এটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির নিয়ম হয়েছে। অর্থাৎ যেসব ক্ষেত্রে সন্ধি নিয়মানুসারে হয় না। সন্ধি বিচ্ছেদ হলো: মনস + ঘষা = মনীষা।

স্বরবর্ণ পড়ে থাকলে 'এ' কারের স্থানে 'অয়', ঐ - কারের স্থানে আয়, ও - কারের স্থানে অব, এবং ঐ - কারের স্থানে 'আব' হয়। ও + অ = অব + অ অর্থাৎ লো + অন = লবণ।

বালি উচ্চ তাপমাত্রায় ক্ষার ও মৃৎক্ষার ধাতু সমূহের অক্সাইড হাইড্রোক্সাইড ও কার্বনেট এর সাথে বিক্রিয়া করে কাজ উৎপন্ন করে। চুনাপাথর ও ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর সাথে বিক্রিয়া করে সাধারণ কাজ উৎপন্ন করে। জিপসাম ও সাজিমাটি যথাক্রমে ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম এর খনিজ উৎস।

ড্রাই আইস হল কঠিন কার্বন - ডাই - অক্সাইড পচনশীল পদার্থ ঠান্ডা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। ড্রাই আইস বিষাক্ত বা ক্ষয়িষ্ণু নয় এবং কোন অবশেষ না রেখে সরাসরি কঠিন অবস্থা থেকে গ্যাসীয় অবস্থায় উর্ধ্বপাতিত হয়।

বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের মান (g) বৃদ্ধির সাথে বৃদ্ধি পায়। g এরমান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বের উপর নির্ভর করে। মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বিষুবীয় অঞ্চলের ব্যাসার্ধ অপেক্ষা কম। বিষুবরেখা হতে মেরুর দিকে যত বেশি যাওয়া যায় ব্যাসার্ধ তত কমতে থাকে এবং g এরমান তত বাড়তে থাকে। মেরু অঞ্চলে ব্যাসার্ধ সবচেয়ে কম হওয়ায় g এর মান সবচেয়ে বেশি হয়। অর্থাৎ ওজন সবচেয়ে বেশি হয়।