৯ম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন পরীক্ষা (28-08-2013)

হাইফেন কে সংযোগ চিহ্ন বলা হয়। সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহার করা হয়। যেমন: এ আমাদের শ্রদ্ধা - অভিনন্দন, আমাদের প্রীতি - উপহার।

নদের চাঁদ - একটি বাগধারা যার মানে অহমিকা পূর্ণ নির্গুণ ব্যক্তি অথবা সুন্দর অথচ অপদার্থ।

দ্বন্দ্ব সমাস :যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: তাল ও তমাল = তাল - তমাল, দোয়াত ও কলম = দোয়াত - কলম। এই দুটি উদাহরন এ প্রতিটি পদের অর্থের ই প্রাধান্য সমস্ত পদে রক্ষিত হয়েছে।

ভাব সম্প্রসারণে ভাবের সম্প্রসারণ বা প্রসারণ ঘটে। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বিষয় কোন টপিক নিয়ে বিশদভাবেঅলোচনা করা হয়। যার ফলে ভাবের সম্প্রসারণ ঘটে। ফলে যে কোন বিষয় বুঝতে সুবিধা হয়

সমার্থক শব্দ ব্যবহার করলে নতুন শব্দের সৃষ্টি হয়, নতুন নতুন শব্দ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ফলে বাংলা শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়।

অব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমন:

চলিত ভাষাতে অনুসর্গের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার হয়। অনুসর্গগুলো প্রাতিপদিক এর পরে ব্যবহার হয়। চলিত রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ সংক্ষিপ্ত রূপে ব্যবহার হয়। এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ সহজতর রূপ লাভ করে।

চলিত ভাষার আদর্শরূপে গৃহীত ভাষাকে প্রমিত ভাষা বলে। প্রমিত ভাষা বলা ও লেখার উপযোগী। এটি বক্তৃতা, আলাপ আলোচনা ও নাট্যসংলাপের উপযোগী। প্রমিত ভাষা কালের প্রবাহে অনেক পরিবর্তিত হয়।

এইরুপ সাদৃশ্য অনেক চক্ষে পড়িবে। (সাধু ভাষা)

চলিত ভাষায় সংস্কৃত শব্দ নয় তদ্ভব শব্দ বহুল ব্যবহার হয়।

সাধু - চলিত

তার বাহিরে যাবার সময় হয়েছে।

ব্যক্তিগত পত্রের উপরে ডান কোণে পত্র লেখকের স্থান ও তারিখ লিখতে হয়। যে স্থান এ প্রেরক অবস্থান করছে সেই স্থানের নাম এবং প্রেরকের চিঠি লেখার তারিখ।

গঠন অনুসারে শব্দ ২ প্রকার।

ভাষার মূল উপাদান ধ্বনি। ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা। মানুষের কন্ঠ নিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠন কে ভাষা বলে। গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদি বাক প্রত্যঙ্গকে বাকযন্ত্র বলে। ইশারা বা অঙ্গভঙ্গির সাহাযে মনের ভাব সম্পুর্ণ রূপে প্রকাশ পাই না। তাই এটি ভাষার অন্তর্ভুক্ত নয়।

যতি বা ছেদ বা বিরাম চিহ্নের প্রবর্তক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের শুরুতে, বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে কিংবা বাক্যে আবেগ, জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে যতি বা বিরাম চিহ্নের প্রবর্তন করেন। বিরাম চিহ্নের সংখ্যা ১২ টি।

তত্ত্ববোধিনী - অক্ষয়কুমার দত্ত

প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন ৪টি। যেমন: