১৫ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (স্কুল পর্যায়) (19-04-2019)

শুদ্ধ বানান হলো - স্টেশন , বিপ্রকর্ষ , সাধারণ।

আরবি শব্দসমূহ মূলত দুভাগে ব্যবহৃত হয়। যথা -

'পাহাড়ের ঢাল বেয়ে জল নামছে' - বাক্যে 'জল' কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি।

উপাসক অর্থে: শিব + ষ্ণ = শৈব।

রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ: প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে গঠিত যে সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ আলাদা হয়, তাদেরকে রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন -

বাংলা বর্ণমালায় বর্ণসংখ্যা ( স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি) - ৫০টি। তন্মধ্যে মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি ( স্বরবর্ণ ৪ টি - এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি - ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঁ)। অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮ টি ( স্বরবর্ণ ১টি - ঋ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৭ টি - খ, গ, ণ, থ, প, শ)। পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২ টি ( স্বরবর্ণ ৬ টি ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬ টি)।

জুতা - জুতা, সহিত - সাথে, বন্য - বুনো, শুষ্ক - শুকনো।

উদ্ধরণ চিহ্নের পূর্বে (খন্ড বাক্যের শেষে) কমা বসাতে হবে। যেমন - অধ্যক্ষ বললেন , "ছুটি পাবেন না। "

'খাতক' অর্থ ঋণী, অধমর্ণ, দেনাদার। মহাজন অর্থ সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয়া যার পেশা, উত্তমর্ণ। সুতরাং 'খাতক' - এর বিপরীতার্থক শব্দ মহাজন।

ধ্বনির সূক্ষ্মতম মৌলিক অংশকে বা একককে বলা হয় ধ্বনিমূল বা phoneme। এই ধ্বনিমূল বা phoneme থেকেই ধ্বনিতত্ত্বের নাম হয়েছে Phonology।

সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকেই উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। এতে একটি বিশেষ্য ও অপরটি বিশেষণ থাকে। যেমন -

দুই বা তার চেয়ে বেশি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বরধ্বনি না থাকলে সে ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি বা ধ্বনি কয়টি একত্রে উচ্চারিত হয় । এরুপ যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটি বা অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে সংযুক্ত বর্ণ (Ligature ) গঠিত হয়। 'হ্ম' এখানে এরুপ একটি সংযুক্ত বর্ণ । কারণ, হ + ম = হ্ম । উল্লেখ্য, ক + ষ‌ = ক্ষ, হ + ন = হ্ন, ষ + ণ = ষ্ণ ।

পরের ই - কার আগে উচ্চারিত হলে বা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই - কার বা উ - কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। অর্থাৎ পরের 'ই' কার ও 'উ' কার আগেই উচ্চারিত হওয়ার রীতিকে অপিনিহিতি (Apenthesis) বলে।

নিয়ম: বিসর্গযুক্ত ই /উ ধ্বনির পর ক/খ/প/ফ থাকলে বিসর্গের স্থলে ষ্ হয় এবং বিসর্গযুক্ত অ / আ ধ্বনির পর ক/খ / প / ফ থাকলে বিসর্গের স্থলে স্ হয়।

যখন কাওকে কিছু করতে বলা হয় যেমন অনুরোধ বা আদেশ করা, তখন বর্তমান কালের সেই অবস্থাকে বর্তমান অনুজ্ঞা বলা হয়। যেমন:

চক্ষুদান করা (চুরি) – পকেটমার আমার কলমটা চক্ষুদান করে নিয়ে গেল।

প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যােগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে গুণ বলে। ই / - ি কার বা ঈ / - কার থাকলে এ / - কার হবে। যেমন -

আমন্ত্রণ শব্দের সমার্থক শব্দ - নিমন্ত্রণ, আহ্বান, আবাহন, আহূতি, ডাক, সম্বাষণ,নেমন্তন্ন